ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ২০২৪-২৫ মরসুমে (ISL 2024-25 Session) লিগ শিল্ড (League Shiled) জয়ের দৌড়ে সব থেকে এগিয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG) । যদিও…
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ২০২৪-২৫ মরসুমে (ISL 2024-25 Session) লিগ শিল্ড (League Shiled) জয়ের দৌড়ে সব থেকে এগিয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG) । যদিও তাদের হাতে বাকি রয়েছে বেশ কিছু ম্যাচ। তাই বড় কিছু অঘটন না ঘটলে, টানা দ্বিতীয়বারের জন্য শিল্ড ঘরে আসবে সবুজ-মেরুন শিবিরের। এবার শেষ মুহূর্তে বাগানের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন সাহাল আব্দুল সামাদ (Sahal Abdul Samad)। যদিও এই মরসুমে তার পারফরম্যান্স এখনও তার সেরা অবস্থায় পৌঁছায়নি। তবে তার মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে শিরোপা জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বর্তমানে একটি পরিবর্তিত ভূমিকা পালন করছেন। তার দৃঢ়তা এবং প্রতিভা একেবারে পরিবর্তন এনে দিতে পারে গতবারের লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়নদের।
বাগান ব্রিগেড এই মরসুমে আইএসএল শিল্ড জয়ের পথে এগিয়ে চলেছে। খেলার ধারায় আরও কিছু পরিবর্তন আনলে সাহাল আব্দুল সামাদ দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তার ১৫ ম্যাচে একমাত্র একটি অ্যাসিস্ট এবং কোনো গোল না থাকলেও, সাহালের খেলারধরণ তা অবিশ্বাস্য। তাকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে তিনি দলের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন।
৩. ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা
মোহনবাগান সম্প্রতি বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করলেও, তারা মাত্র ৩৬% বল দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছিল এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি। সাহাল আব্দুল সামাদ দলের মিডফিল্ডে এমন এক খেলোয়াড় হতে পারেন, যিনি বল দখলে দলের আরও শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে। সাহাল বল পুনরুদ্ধারে নিখুঁত, তার প্রতিপক্ষদের উপর চাপ তৈরি করে দ্রুত বল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এছাড়াও, তার দক্ষতার সঙ্গে তিনি বল দ্রুত সামনে নিয়ে যেতে পারেন, যার ফলে মোহনবাগান দ্রুত আক্রমণ তৈরি করতে পারবে।
এই মরসুমে সাহাল ৯০ মিনিটে প্রায় তিনটি বল পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তিনটি ডুয়েলও জয়ী হয়েছেন, যা তার মাঠে অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। যদি মোহনবাগান সত্যিই ম্যাচে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তবে তাদের সাহালকে আরও বেশি সময় মাঠে রাখতে হবে।
২. অতিরিক্ত গোলের অপশন
বাগানের অন্যতম সমস্যাগুলির মধ্যে এক হল তাদের মিডফিল্ডারদের কাছ থেকে গোলের অভাব। দীপক, অভিষেক সুর্যবংশী এবং সাহাল কেউই এই মরসুমে এক গোলও করতে পারেননি। এজন্য, মোহনবাগানকে গোলের জন্য শুধুমাত্র ফরোয়ার্ডদের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আরও বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে।
সাহাল যদিও এই মরসুমে গোল পাননি, তবে তার গোল করার ক্ষমতা সবারই জানা। যদি তাকে আক্রমণাত্মক দায়িত্ব দেওয়া যায়, তবে তার সৃজনশীলতা এবং পরিপক্ব খেলোয়াড়ির মাধ্যমে দলের জন্য গোলের হুমকি সৃষ্টি করা সম্ভব। তার পারফরম্যান্সের ওপর আরও বিশ্বাস রাখলে, তিনি দলকে আরও গোলের সুযোগ দিতে পারেন, যা ফরোয়ার্ডদের উপর চাপ কমিয়ে আনবে।
১. বিদেশি খেলোয়াড়দের উপর সৃজনশীল বোঝা কমানো
যদিও সাহাল এই মরসুমে মাত্র একটি অ্যাসিস্ট করেছেন, তবে তার সৃজনশীলতা ইতিমধ্যেই প্রশংসিত। গত মরসুমে তিনি মোহনবাগানের হয়ে ৪ অ্যাসিস্ট করেছিলেন। সামাদ সাধারণত মিডফিল্ডে তার কর্তব্যে বেশি মনোযোগ দেন, তবে যদি তাকে আরও সৃজনশীল ভূমিকা দেওয়া যায়, তবে তিনি মাঠে আরও প্রভাব ফেলতে পারবেন।
যদি কোচ হোসে মোলিনা এই ফুটবলারকে আরও সৃজনশীল দায়িত্ব দেন, তবে এটি দলকে তার ফরোয়ার্ডদের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমিয়ে দেবে এবং আক্রমণকে আরও গতিশীল করবে। তাই মোটের ওপর, সাহাল আব্দুল সামাদ যদি তার সেরা অবস্থায় খেলার সুযোগ পান। কোচ তার খেলার ধরণে কিছু পরিবর্তন আনেন, তবে তিনি মোহনবাগানকে আইএসএল শিল্ড জয়ী করার অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠতে হতে পারেন।